“আমি ভালো থাকি অভিনয়ের মধ্যেই থাকলে”:অঙ্কুশ্রী
২০০৯ সালে ‘ড্যান্স বাংলা ড্যান্স’-এ অংশগ্রহণ।তখন তার বয়স মাত্র ১৩ বছর।সেই তার শুরু তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আজকের ‘গাঁটছড়া’র কিয়ারাকে।পর্দার কিয়ারার অবশ্য বাস্তবের নাম অঙ্কুশ্রী মাইতি।
পাশাপাশি অভিনেত্রী কালর্স বাংলায় ‘ত্রিশূল’ ধারাবাহিকে ইমনের চরিত্রে।’মন ফাগুন’-এর নীহারিকা বোস।অভিনেত্রী সাক্ষাৎকার পর্বে জানালেন ইমন চরিত্রের সঙ্গে আমার বেশ মিল আছে।কিন্তু নীহারিকা একদম আমার বিপরীত ধরনের চরিত্র।
সুমন মুখোপাধ্যায়ের চেতনা গ্রূপের ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ নাটকের বহু শো জনপ্রিয়তার সঙ্গে অভিনয় করেন কলকাতার টালিগঞ্জে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা অঙ্কুশ্রীর।
অভিনেত্রী কথায় কথায় জানালেন,”ছোট থেকেই আমার অভিনয়ের প্রতি খুব শখ ছিল।আর নাচ আমার নেশা ছিল।সেখান থেকেই ‘ড্যান্স বাংলা ড্যান্স’-এ আসা।এরপর সুমন মুখোপাধ্যায়ের চেতনা গ্রূপে দীর্ঘদিন থিয়েটার করা।তারপর সুযোগ আসে সঞ্চালনার।সঞ্চালিকা হিসেবে আমার প্রথম কাজ স্টার জলসার নন ফিকশান শো ‘বান্ধবী’।সেটা ছিল আমার প্রথম কাজ।এখনও আমি সঞ্চালনা করি।এখন আমি জি বাংলার নন ফিকশান শো ‘সম্পূর্ণা’ হোস্ট করি।মাঝে সঙ্গীত বাংলাতেও সঞ্চালনা করেছি।”
মেগা ধারাবাহিকে অভিনেত্রীর প্রথম কাজ ইটিভি বাংলায় ‘সোনার হরিণ’ এরপর ‘বধূ কোন আলো লাগলো চোখে’,’ফাগুন লেগেছে বোনে বোনে’,’চেনা অচেনা’র মোতো ধারাবাহিকে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম।
এরপর তার ছবিতেও ডেবিউ ঘটে।রবি কিনাগির ‘দিওয়ানা’ ছবিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করি।
এরপর হঠাৎ ব্যক্তিগত কারণে অঙ্কুশ্রী অভিনয় থেকে সরে গেলেন।প্রায় পাঁচ বছর সরে থাকলেন অভিনয় থেকে।এরমাঝে অঙ্কুশ্রীর কোল আলো করে এলো মিশুক।ছোট্ট মেয়ে মিশুক এখন অভিনেত্রীর সবচেয়ে ভালো বন্ধু।মিশুক এখন অভিনেত্রীর সবচেয়ে বড় ইন্সপিরেশন।
জি বাংলার নন ফিকশন শো ‘সম্পূর্ণা’ দিয়েই অভিনেত্রীর কামব্যাক।এখন তিনি ক্লিক-এ নতুন একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন।খুব শীঘ্রই এই ওয়েব সিরিজটি মুক্তি পাবে।
অভিনেত্রী চান সারাজীবন বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে ।অভিনেত্রী জানালেন,”আমি ভালো থাকি অভিনয়ের মধ্যেই থাকলে। চাই সারাটা জীবন ভিন্ন ধরনের চরিত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্মে অভিনয় করতে।”
সাক্ষাৎকার:রামিজ আলি আহমেদ
চিত্ৰগ্রাহক:বাবান মুখার্জী
ওয়ার্ডড্রোব ও স্টাইলিং:জিৎ সত্যা
রুপসজ্জা:সৌমেন সেনগুপ্ত
কেশসজ্জা:রণিতা চন্দ্র
সিনেমাটোগ্রাফার:শুভজিৎ ভৌমিক